দাঁত
শিরশির করার কারণ ও প্রতিকার
· দাঁত শিরশির করার কারণ ও প্রতিকার
কারণ
·
যেসব ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে
· প্রতিরোধ
o লবণ পানিতে কুলকুচি করা
লবণ পানিতে কুলকুচি করা একটি সাধারণ গার্গলিং পদ্ধতি যেখানে নুন মিশ্রিত পানি ব্যবহার করা হয়। এটি গলার ব্যথা, মুখের আলসার এবং দাঁতের সমস্যা দূর করতে সহায়ক। লবণের অ্যান্টিসেপ্টিক বৈশিষ্ট্য জীবাণু ধ্বংস করে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন নিয়মিত লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি করা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে।
o মধু ও কুসুম গরম পানির মিশ্রণ
মধু ও কুসুম গরম পানির মিশ্রণ একটি প্রাচীন ও প্রাকৃতিক স্বাস্থ্য উপকরণ যা সাধারণত সুস্বাস্থ্যের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই মিশ্রণটি হজম শক্তি বাড়ায়, ওজন কমাতে সহায়তা করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে। মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানে সমৃদ্ধ, যা শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সহায়ক। কুসুম গরম পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং বিপাক ক্রিয়া ত্বরান্বিত করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই মিশ্রণ পান করলে উপকারিতা বেশি পাওয়া যায়।
o গ্রিন টি মাউথওয়াশ
গ্রিন টি মাউথওয়াশ হল একটি প্রাকৃতিক মুখের ধোয়া যা গ্রিন টি থেকে প্রস্তুত। এটি ব্যাকটেরিয়া এবং মাড়ি সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকরী। গ্রিন টির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাবলী মুখের স্বাস্থ্য রক্ষা করে ও মুখের দুর্গন্ধ কমায়। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে মুখের সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়।
o ক্যাপসাইসিন জেল
ক্যাপসাইসিন জেল একটি টপিক্যাল পেইন রিলিফ জেল যা ক্যাপসাইসিন নামক উপাদান থেকে তৈরি। এটি মূলত মাংসপেশী এবং জয়েন্টের ব্যথা, আর্থ্রাইটিস, এবং নার্ভের ব্যথা উপশম করতে ব্যবহৃত হয়। ক্যাপসাইসিন জেল ত্বকে প্রয়োগ করার পর তাপ উৎপন্ন করে যা ব্যথা কমাতে সহায়ক। এটি সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং ব্যবহারের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।
o ভ্যানিলা এক্সট্র্যাক্ট
ভ্যানিলা এক্সট্র্যাক্ট একটি সুগন্ধি তরল যা রান্না এবং বেকিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি ভ্যানিলা বিন থেকে প্রস্তুত করা হয় এবং খাবারের স্বাদ বাড়াতে বিশেষভাবে কার্যকর। মূলত কুকিজ, কেক, এবং ডেজার্টে ব্যবহার করা হয়, ভ্যানিলা এক্সট্র্যাক্ট সাধারণত ছোট পরিমাণে ব্যবহৃত হয় কারণ এর স্বাদ অত্যন্ত প্রভাবশালী। এছাড়া এটি ন্যাচারাল বা আর্টিফিশিয়াল উত্স থেকে পাওয়া যায়। রান্নার সময় এটি খাবারের মধ্যে একটি মিষ্টি ও মৃদু সুগন্ধ যোগ করে।
· গর্ভকালীন সময় দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে করণীয়
গর্ভকালীন সময়ে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে অনেক মহিলার দাঁতের মাড়ি ফুলে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:
- নিয়মিত মুখের যত্ন: প্রতিদিন দু'বার ব্রাশ ও ফ্লস করুন।
- ডেন্টিস্টের পরামর্শ: নিয়মিত ডেন্টিস্টের কাছে যান এবং তার পরামর্শ মেনে চলুন।
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার দিকে মনোযোগ দিন, যা দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
- মেডিক্যাল চেক-আপ: গর্ভকালীন সময়ে দাঁতের মাড়ির সমস্যা বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এই পদক্ষেপগুলো গর্ভাবস্থায় দাঁতের মাড়ির ফোলাভাব কমাতে সহায়ক হতে পারে।
· মুখের দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ
মু মুখের দুর্গন্ধ বা হ্যালিটোসিস একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। প্রধান কারণগুলির মধ্যে রয়েছে মাড়ির রোগ, দাঁতের ক্যাভিটি, জিভের পেছনে ব্যাকটেরিয়ার জমা, মুখের শুকনোভাব, খাবার এবং পানীয়ের অবশিষ্টাংশ, ধূমপান, এবং কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। সঠিক মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, নিয়মিত দাঁত ও জিভ পরিষ্কার করা, পর্যাপ্ত পানি পান করা, এবং ধূমপান এ ড়ানো মুখের দুর্গন্ধ প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।