কোনটার পুষ্টিগুণ বেশি ,কাঁচা নাকি পাকা আম?

  কোনটার পুষ্টিগুণ বেশি ,কাঁচা নাকি পাকা আম?












আমের মৌসুম চলছে এবং সুস্বাদু আমের রস ছড়া যাচ্ছে। আমের স্বাদ খুঁজে পাওয়া অনেকেরই বড় পছন্দ। আম একটি ফল যা কাঁচা অবস্থায় বা পাকা অবস্থায় উভয়ই খাওয়া যায়।

কোনটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো? কাঁচা আম এবং পাকা আম, উভয়ই শরীরের জন্য উপকারী ফল। কাঁচা আমে অধিক পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যেটি শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। আবার পাকা আমে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি থাকে, যা শরীরের অবশ্যইতেই প্রয়োজনীয় যোগদান করে। কাঁচা আম এবং পাকা আম, উভয়ই ফাইবারের অধিক পরিমাণ ধারণ করে, যা শরীরের জন্য উপকারী।

কাঁচা আম 

১.  কাঁচা আমে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। কাঁচা আম যেভাবেই খাওয়া হোক, তা শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

২. কাঁচা আমে গ্যালিক অ্যাসিড থাকে। যা গরমকালে হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে কাঁচা আম খেলে গ্যাস, অম্বলের সমস্যা দূর হয়।

৩. পটাশিয়াম থাকার কারণে কাঁচা আম খেলে ঘাম কম হয়। ক্লান্তিও দূর করতে সাহায্য করে কাঁচা আমের শরবত।

৪. কাঁচা আমে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এই ফল খেলে রুক্ষ, শুষ্ক ত্বক উজ্জ্বল দেখায়। তবে অতিরিক্ত না খাওয়াই উচিত। কাঁচা আম বেশি খেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

পাকা আম

 ১. পাকা আমে ক্যালোরি, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, কার্বোহাইড্রেট, ক্যারোটিন ও পটাশিয়াম রয়েছে। ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে। বিশেষ করে শিশুদের দাঁত, চুল এবং দৃষ্টিশক্তির জন্য পাকা আম খুব উপকারী।

২. প্রতিদিন একবার পাকা আম খেলে অ্যাসিডিটি সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাকা আমে প্রচুর ক্যালোরি রয়েছে, যা শরীরে শক্তি জোগাতে সহায়তা করে।

৩. কাঁচা ও পাকা আম উভয়েই ফাইবারের সমৃদ্ধ। তাই উভয়েই শরীরের জন্য ভালো।

৪. তবে অতিরিক্ত পাকা আম খাওয়াও ভালো নয়। বিশেষত পাকা আমে শর্করা বেশি থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের পাকা আম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় না। অন্যদিকে, যারা ওজন কমানোর জন্য নির্দিষ্ট ডায়েট অনুসরণ করেন, তাদেরও অতিরিক্ত পাকা আম খাওয়া উচিৎ নয়।







একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন