নারীদের যেসব পরীক্ষা জরুরি বয়স ৩০ হয়ে গেলে

  নারীদের যেসব পরীক্ষা জরুরি বয়স ৩০ হয়ে গেলে

নারীদের যেসব পরীক্ষা জরুরি বয়স ৩০ হয়ে গেলে


ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার পর থেকেই নারীদের শরীরে হরমোনের মাত্রা ওঠানামা করতে শুরু হয়। এবং ৩০ পেরোলেই শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তাই চিকিৎসকরা পরামর্শ দেয়, বয়স তিরিশের কোঠা ছাড়ালেই স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হতে হবে। প্রতি বছর নির্দিষ্ট পরীক্ষা করা জরুরি। কারণ, যদি শরীরে কোনো সমস্যা থাকে, তবে তা প্রাথমিক অবস্থাতেই ধরা যায় এবং চিকিৎসা শুরু করা যেতে পারে।

বয়স বাড়লেই ডায়াবেটিসের আশঙ্কা থাকে, এটি মিথ্যা নয়। কম বয়সেও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই বয়স ৩০ পেরোলেই বছরে অন্তত একবার রক্তে শর্করা মাত্রা পরীক্ষা করা জরুরি।

বয়স ৩০ পেরোনোর পর থাইরয়েড পরীক্ষা করা জরুরি। এটি নিশ্চিত করার জন্য লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করা জরুরি।

ক্যানসার স্ক্রীনিং অত্যন্ত জরুরি একটি পরীক্ষা। স্তন থেকে ডিম্বাশয়, এমনকি জরা মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে নারীদের। এই পরীক্ষাগুলি নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করা জরুরি।

হাড় সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে নারীদের বেশি অভিজ্ঞতা হয়। তাই ৩০ পেরোনোর পর শরীরে ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়ামের মাত্রা পরীক্ষা করানো জরুরি।

যদি বয়স পাঁচালিশ বাড়িয়ে যায়, তাহলে চোখের পরীক্ষা করা জরুরি। পাওয়া বড়েছে কি না, চশমা প্রয়োজন কি না, সে বিষয়েও চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করা প্রয়োজন।

৩০ বছর বয়স পার হওয়ার পর নারীদের জন্য কিছু বিশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো জরুরি হয়ে ওঠে। এগুলো তাদের দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। নিম্নে কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য পরীক্ষার তালিকা দেয়া হলো:

  1. প্যাপ স্মিয়ার টেস্ট: জরায়ু মুখ ক্যান্সার (Cervical cancer) নির্ণয়ের জন্য।
  2. এইচপিভি টেস্ট: মানব প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV) এর সংক্রমণ নির্ণয়ের জন্য।
  3. মামোগ্রাম: স্তন ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য।
  4. ব্লাড প্রেসার চেক: উচ্চ রক্তচাপ নির্ণয় এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য।
  5. লিপিড প্রোফাইল টেস্ট: কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা চেক করার জন্য।
  6. ডায়াবেটিস স্ক্রিনিং: ব্লাড সুগার লেভেল চেক করার জন্য।
  7. থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট: থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা চেক করার জন্য।
  8. বোন ডেনসিটি টেস্ট (DEXA স্ক্যান): হাড়ের ঘনত্ব এবং অস্টিওপরোসিস নির্ণয়ের জন্য।
  9. ব্লাড টেস্ট (সিবিসি এবং CMP): রক্তের বিভিন্ন উপাদান এবং লিভার ও কিডনির কার্যকারিতা চেক করার জন্য।
  10. স্কিন চেক: ত্বকের ক্যান্সারের লক্ষণ নির্ণয়ের জন্য।
এছাড়াও, নিয়মিতভাবে জেনারেল হেলথ চেকআপ করানো এবং যেকোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন