আনারস এনজাইম ব্রোমেলেইনের গুরুত্ব পূর্ণতা চিরসাথে রয়েছে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়। এই ফলে আছে ম্যাঙ্গানিজ নামক খনিজ উপাদান, যা দেহের শক্তি বাড়ায়। আছে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন বি-১, যা শরীরের জন্য অপরিহার্য। আনারস শুধু একটি ফলই নয়, এর রয়েছে নানা উপকারিতা, তা আমরা অনেকেই জানি না। চলুন জেনে নেয়া যাক আনারসের গুণাগুণ সম্পর্কে।
আনারস |
পুষ্টির অভাব দূর করে- আনারস পুষ্টির বেশ বড় একটি উৎস। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। এসব উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে আনারস খেলে দেহে এ সব পুষ্টি উপাদানের অভাব থাকবে না।
হজমশক্তি বাড়ায়- আনারস আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকরী। আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন, যা আমাদের হজমশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
হাড়ের সুস্থতায়- আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাংগানিজ। ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ম্যাংগানিজ হাড়কে করে তোলে মজবুত। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পরিমিত পরিমাণ আনারস রাখলে হাড়ের সমস্যাজনিত যেকোনো রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
ওজন কমানোর জন্য আনারসের সাহায্য -
আনারস আমাদের ওজন কমাতে সহায়ক। এটি ফাইবারের ধারণা রাখে এবং ফ্যাট সম্পূর্ণভাবে কম করে। সকালে ফল খেতে যখন আনারস ব্যবহৃত হয়, তখন এটি স্বাস্থ্যকর হয় এবং ওজন নির্ধারণে সাহায্য করে।
চোখের স্বাস্থ্যের জন্য -
গবেষণার মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে যে, আনারস চোখের ম্যাকুলার ডিগ্রেডেশনের বিপরীতে রক্ষা করে। এটি অন্ধত্বের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং চোখের স্বাস্থ্যকে ভালো রেখে থাকে।
দাঁত এবং মাড়ির সুরক্ষার জন্য -
আনারসে থাকা ক্যালসিয়াম দাঁতের সুরক্ষায় সাহায্য করে এবং মাড়ির সমস্যা সমাধানে ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন আনারস খাওয়া দাঁতে জীবাণু আক্রমণ কমাতে সাহায্য করে এবং দাঁতের স্বাস্থ্য সম্পর্কে যত্ন নেওয়া হয়।